হকি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন...

ভারতের তামিলনাড়ুতে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-২১ হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় হকি দলে ডাক পেয়েছেন...

ভালো ড্রেস না থাকায়...

চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন মারুফা আক্তার। এই পেসারের পেস-সুইংয়ে দিশেহারা...

পরীক্ষা ছাড়া অ্যামেরিকায় সিটিজেনশিপ...

যদি ১৫ বছর থাকে লাস্ট ফাইভ ইয়ারসে যদি সিক্সমান্থ ওভারস্টে না করে থাকে...

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর...

ইউরোপে অবৈধ পথে সামগ্রিক অভিবাসন ২২ শতাংশ কমলেও, মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট ব্যবহার করে...
Homeঅর্থনীতিলুঙ্গি থেকে কোটি টাকার রাজপথ: সলটুর নাটকীয় উত্থান

লুঙ্গি থেকে কোটি টাকার রাজপথ: সলটুর নাটকীয় উত্থান

এক সময় বাবার মুদির দোকানের পাশে লুঙ্গি সেলাই করে সংসার চালানো সুজিব রঞ্জন দাস সলটু, আজ শত কোটি টাকার মালিক। তাঁর অস্বাভাবিক সম্পদের পিছনে লুকিয়ে আছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আশীর্বাদ—সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আবদুস সামাদ আজাদ থেকে শুরু করে শেখ ফাহিম পর্যন্ত। পাঁচ বছরের মধ্যে তার ভাগ্যের পাল যেন আলাদিনের চেরাগে আলো মাখা হয়েছে।

অস্বাভাবিক সম্পদের কাহিনি

সলটু এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, কানাডার টরন্টোতে শতকোটি টাকার চারটি বাড়ি এবং দুবাইয়ে ফ্ল্যাটসহ বিশাল সম্পত্তির মালিক। টরন্টোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা জুয়া খেলেন তিনি।

এক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জানান, সলটুর অর্থের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন শেখ ফাহিম। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এফবিসিসিআই’র সভাপতি থাকাকালীন শেখ ফাহিম কানাডায় মোটা অঙ্কের টাকা পাচার শুরু করেন। সলটু এই সময়ে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুরে একটি গ্যাস পাম্প চালু করেন, যেখানে জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।

কানাডা-ফ্ল্যাট থেকে লুকানো অর্থ

সলটুর স্ত্রী শেলি দাসের নামে টরন্টোর স্কারবোরো অঞ্চলে একটি বাড়ি কেনা হয়, প্রায় শতকোটি টাকার। আর নিজের নামে ১৩৮নং মেবোর্নে দ্বিতীয় বাড়ি রেজিস্ট্রি করা হয়, যেখানে ‘কানাডা ইনক’ এবং ‘কুবার মর্গেজ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন’ মাধ্যমে ডলার স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সলটু পরিবারসহ ট্রিপলেক্স বাড়িতে বসবাস করছেন।

দুর্নীতির নেপথ্যে রাজনৈতিক সাপোর্ট

২০১৭ সালে হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার মামলায় সলটু ও তার বন্ধু খায়রুল হুদা চপল ছিলেন আসামি। কিন্তু প্রধান দুই আসামির নাম তালিকা থেকে প্রত্যাহার করায় তদন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়। অভিযোগ ওঠে, শেখ ফাহিমের হাত রয়েছে এ ঘটনার পেছনে।

সলটুর নাটকীয় উত্থান শুরু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, যখন তিনি আবদুস সামাদ আজাদের নির্বাচনী প্রচারণায় জুতা পরিষ্কার করতেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত হন এবং খায়রুল হুদা চপলের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এভাবেই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে নির্বিঘ্নে টেন্ডারবাজির সুযোগ পান।

আলাদিনের চেরাগের মতো উত্থান

শেখ ফাহিম এফবিসিসিআই সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সলটু তার অলিখিত ক্যাশিয়ার এবং পরিচালক হন। করোনার সময় তার বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে শেখ ফাহিমসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য হেলিপ্যাড বানাতে ৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। অভিযোগ আছে, নির্বাচনের সময় পরিচালক করতে এক থেকে দেড় কোটি টাকা নগদ গ্রহণ করেছেন।

ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট, সিলেটের উত্তর বাগবাড়িতে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি—সব মিলিয়ে সলটুর জীবন এখন বিলাসী। কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার পর তার দামি গাড়ি গোপন রাখা হয়েছে।


নোট: সলটুর মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি লাইন কেটে দেন এবং খুদে বার্তাও দেননি। শেখ ফাহিম পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments