ভাঙ্গা করেসপনডেন্ট:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ এক থেকে দেড়শ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপর সুয়াদীতে সিসিবিএল পেট্রোল পাম্পের সামনে ফরিদপুর-৪ আসন পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে আসামি ম.ম. সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে, টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে ভয়ভীতি ও শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে বাস ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা তা অমান্য করে মারমুখী অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তা অবরোধকারী উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য মৌখিক সতর্কতার পর তাদের ধাওয়া করলে আসামীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এর ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং এক থেকে দেড়শ অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরের দিকে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে শনিবার রাতে নগরকান্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে গেজেট প্রকাশের পরদিন থেকে রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এতে ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচল ব্যাহত হয়।