আজকাল বৈবাহিক সম্পর্ক মানেই যেন তাড়াতাড়ি শুরু, তাড়াতাড়ি শেষ! কিন্তু ঠিক তখনই মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘সহযাত্রী’ নাটকটি বার্তা দিচ্ছে, দাম্পত্য জীবন মানে দায়িত্ব, বোঝাপড়া আর সহনশীলতা। বিচ্ছেদের নয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বার্তা এই নাটকটি।
এটি দেখে দর্শকরা বলছেন, ‘সহযাত্রী’ শুধুই একটি গল্প নয়, বরং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বোঝাপড়া এবং সহনশীলতার বার্তা চোখে আঙুল দিয়েও দেখিয়ে দিচ্ছে। দর্শকরা অনুভব করছেন, ডিভোর্স নয়, বরং কিভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় সেই চর্চা শিখিয়ে দিচ্ছে ‘সহযাত্রী’।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, নিজেকে পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে জয়-অবনী (জোভান-নিহা) বিয়ে করেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট কারণে দুরত্ব বাড়তে থাকে। একসময়ে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের মামা জানান, বিয়েতে জয়-অবনীকে কাউকে দাওয়াত দেয়নি। এজন্য তাদের ডিভোর্স হবে ধুমধাম আয়োজনে। সেই ডিভোর্স সেরেমনির আয়োজনে গল্পের বাঁকবদল ঘটে।
সিনেমাওয়ালার ইউটিউবে উন্মুক্ত হয়েছে সহযাত্রী। দুদিন নাটকটি দুই মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখেছেন। এই নাটকের মূল গল্প মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের এবং লিখেছেন জোবায়েদ আহসান। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান, নাজনীন নিহা, এজাজুল ইসলাম, সুষমা সরকার, তানজিম অনিক, জেবিন, তাবাসুম ছোঁয়াসহ আরও অনেকে।
নাটকটি দেখে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শক ইউটিউবে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। শতশত দর্শক তাদের দাম্পত্য কহলের কিছু কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। তাদের মধ্যে চাঁদনি সুলতানা নামে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘সহযাত্রী’ দেখার পর মনে হলো, ডিভোর্স কোনো সমাধান নয়। একটু বোঝাপড়া, একটু ভালোবাসা, কেয়ার এবং ধৈর্য্য এই বিষয়গুলো পারে সারাজীবন সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে।
উপমা পাল লিখলেন, নাটকটা দেখে চোখে জল এসে গেছে। কত সহজে আমরা সম্পর্ক ভেঙে ফেলি, অথচ একটু ধৈর্য রাখলেই হয়তো দুজনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায়। এই নাটকের পরিচালক, লেখক এবং যারা অভিনয় করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। এমন শিক্ষণীয় গল্প আরও চাই।