ট্রাম্পকে আহ্বান জেলেনস্কির ‘গাজার...

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান...

নির্বাচনে কত সেনা মোতায়েন...

মাঠে এখন যে পরিমাণ সেনা সদস্য মোতায়েন আছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর...

শকুনের বাসায় ৬৭৫ বছরের...

সম্প্রতি ‘ইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তারা এক চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কারের কথা জানান। আপনার...

নিউ ইয়র্কে ১১ বছরের...

গ্রেপ্তার কিশোরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আইউইটনেস নিউজ। নিউ ইয়র্কের...
Homeআন্তর্জাতিকনিউইয়র্ক সাবওয়ে কতটা নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন

নিউইয়র্ক সাবওয়ে কতটা নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন

নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে বা পাতাল ট্রেনকে সিটির প্রাণ বলা চলে। সিটিবাসী সাবওয়ের ওপর যতটা নির্ভর করে, অন্য কোনো পরিবহণ ব্যবস্থার ওপর তত নির্ভর করে না। বছরে গড়ে এক বিলিয়ন যাত্রী সাবওয়ে ট্রেনে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক সময় সাবওয়ে যাত্রীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ১৯৯০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছরের তথ্য-পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে সাবওয়েতে হত্যা, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনায় প্রায় ১,৮০০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে

অর্থাৎ নিউইয়র্ক সাবওয়েতে বছরে গড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৫১টি করে। প্রতিবছর যে একই হারে সাবওয়েতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, তা নয়। যেমন ২০২৫ সালের প্রায় নয় মাস কেটে গেছে, সিটি সাবওয়েতে মৃত্যু ঘটেছে তিনটি। গত বছর নিহত হয়েছিল ১০ জন যাত্রী। সংখ্যা কমে এসেছে, এটাই সুখকর। নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দুঃখজনক হলো গত ১০ বছরে নিউইয়র্ক সাবওয়ের দুটি স্টেশনে দুজন বাংলাদেশির নিহতের ঘটনা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার আগমুহূর্তে তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের এক কনকনে ঠান্ডার দিনে। জ্যাকসন হাইটস রুজভেল্ট এভিনিউ স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ‘সেভেন’ ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন সুনন্দ সেন নামে এক পঞ্চাশোর্ধ্ব বাংলাদেশি হিন্দু ভদ্রলোক। ট্রেন স্টেশনে এসে থামার আগেই এক মহিলা তাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের সামনে ফেলে দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মহিলাকে গ্রেফতার করে। এরিকা মেনেনদেজ নামে ঘাতক মহিলা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর থেকে তিনি হিন্দু ও মুসলমাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে আসছেন। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটিকে তার হিন্দু অথবা মুসলিম বলে মনে হয়েছিল। সুনন্দ সেন নিউইয়র্কে একা বসবাস করতেন। তিনি বিয়ে করেননি বলেও জানা গেছে।

দ্বিতীয় ঘটনায় নিহত হয় সিটির ব্রুকলিনে হান্টার কলেজের চব্বিশ বছর বয়সি বাংলাদেশি ছাত্রী জিনাত হোসেন। ২০২২ সালের ১১ মে রাত ৯টার দিকে জিনাত কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে ইউটিকা স্টেশনে ট্রেন থেকে নামেন। এ সময় কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক তার কাছে এসে তার ব্যাগ টানাটানি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। মূলধারার মিডিয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যেও জিনাত হোসেনকে হত্যার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ঘটনার দুদিন পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের রিপোর্টে এটিকে বর্ণবিদ্বেষমূলক হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত করে। জিনাত তার বাবা-মার সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে বসবাস করছিলেন। উল্লেখ্য, ব্রুকলিনের ইউটিকার কোনো কোনো এলাকায় কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা অনেক বেশি এবং সেখানে অপরাধের হার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অপরাধ হারের প্রায় দ্বিগুণ। পরস্পরবিরোধী গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময়ে পুলিশ ও নিরীহ সিটিবাসীর নিহতের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।

শুধু হত্যা ও আত্মহত্যা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কারণেই যে নিউইয়র্ক সাবওয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে তা নয়, সিটির হোমলেস বা গৃহহীন লোকজন অনেক সাবওয়ে স্টেশনকে স্থায়ী আবাসে পরিণত করায় যাত্রীদের বিপদের ঝুঁকি বেড়েছে। সিটি প্রশাসন বহু উদ্যোগ নিলেও হোমলেসদের বড় একটি অংশ সাবওয়ে স্টেশন, এমনকি ট্রেনের কম্পার্টমেন্ট দখল করে থাকে। ভীতিদর্শন হলেও দৃশ্যত তারা কারও ক্ষতি করে না।

যদিও এ ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই বিপজ্জনক নয়, কিন্তু ঝকঝকে সাবওয়ে স্টেশন ও মনোরম ট্রেন কম্পার্টমেন্টে তারা বেমানান। তারা সর্বক্ষণ নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত বস্ত্র ধারণ করে, নোংরা জিনিসপত্রে ভর্তি কয়েকটি ব্যাগ অথবা কার্ট সঙ্গে রাখে। কোথায় প্রাকৃতিক ক্রিয়াদি সম্পন্ন করে, কী খায়, তারাই জানে। হয়তো তারা নিজেরাও বলতে পারবে না কত বছর তারা গোসল করেনি। এ ধরনের একজন ব্যক্তির আশপাশ দিয়ে যারা অতিক্রম করেন, তাদের অবশ্যই নাক চেপে ধরতে হয়।

অনেক সময় দেখা যায়, কোনো হোমলেস-যার কাছে নোংরা জিনিসপত্রে ভর্তি কোনো ব্যাগ নেই, কিন্তু গায়ে একাধিক জ্যাকেট জড়ানো-অযত্নে বেড়ে ওঠা এলোমেলো জটপাকানো চুলদাড়িওয়ালা হোমলেস কোনোভাবে স্টেশনের প্রবেশপথ ‘টার্নস্টাইল’ ডিঙিয়ে ট্রেনের কোনো কম্পার্টমেন্টে প্রবেশ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে তার শরীর ও বস্ত্র থেকে বোটকা গন্ধ কম্পার্টমেন্টময় ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য যাত্রী-যারা এতক্ষণ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছিল-সহযাত্রীর সঙ্গে কথা বলে, অথবা মোবাইল ফোন স্ক্রল করে।

তারা লাফ দিয়ে আসন ছেড়ে গেট বন্ধ হওয়ার আগেই পড়ি কী মরি দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। তা না হলে পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত তাদের অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়ানো গৃহহীন অসহায় ব্যক্তিটির সহযাত্রী হতে হবে। লোকটি নির্বিকার। কারও দিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। তার চারপাশে কী ঘটছে, তা নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই। নিউইয়র্ক সাবওয়ের একটি কম্পার্টমেন্টে ৪০ থেকে ৪৪ জন যাত্রী বসতে পারে এবং সমসংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়েও যেতে পারে।

কম্পার্টমেন্ট যাত্রীশূন্য হয়ে পড়লে গৃহহীন লোকটি তার শরীরকে জ্যাকেটমুক্ত না করেই এবং পা থেকে জুতা না খুলেই একটি ছয় আসনের বেঞ্চে নিজেকে ছড়িয়ে দেন। পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামে, দরজা অটোমেটিক খুলে যায়। কম্পার্টমেন্টের তিনটি দরজা দিয়ে দু’একজন যাত্রী প্রবেশ করার পর যে দৃশ্য দেখেন ও নাকে যে ঝাঁজালো গন্ধ পান, তাতে তাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। যতটা বেগে তারা কম্পার্টমেন্টে ওঠেন, তার কয়েকগুণ অধিক গতিতে ছিটকে প্ল্যাটফর্মে নেমে আসেন। কারণ, দুর্গন্ধ তখন কম্পার্টমেন্টজুড়ে ভারী হয়ে বসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি একা শুয়ে ঘুমিয়ে ট্রেনের শেষ গন্তব্য পর্যন্ত যান। কম্পার্টমেন্টগুলো যখন ধোয়ামোছা ও জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়, কেবল তখনই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা প্রথমে তাকে উঠে যেতে অনুরোধ করেন।

তাদের অনুরোধে সাড়া না দিলে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে নামিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। কী অভিযোগ আনবে তার বিরুদ্ধে, লোকটি তো কোনো অপরাধ করেনি। সিটি কর্তৃপক্ষ তার জন্য কোনো আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারেনি বলে তাকে এভাবে কাটাতে হয়। পুলিশ বড়জোর সিটির আরেকটি বিভাগ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের লোকজনকে ফোন করে লোকটিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারে। লোকটির মানসিক অবস্থা যদি স্থিতিশীল বলে মনে না হয়, তাহলে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগ তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে ন্যস্ত করতে পারে। তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের সহিংস আচরণ করার সুযোগ নেই।

তা সত্ত্বেও হোমলেসদের সাবওয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বাধা বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য হোমলেস লোকজনকে অহিংস উপায়ে তাদের নিজেদের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো, হোমলেস সেন্টারে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা এবং তারা যাতে জীবিকার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে সেজন্য তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

তাদের সংখ্যা কত সে বিষয়ে সিটির কাছে পরিসংখ্যান অবশ্যই আছে, কিন্তু তাদের পরিসংখ্যানের ওপর সবসময় নির্ভর করা যায় না। বিভিন্ন সেবা ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ‘মেট্রোপলিটান ট্রানজিট অথরিটি’ (এমটিএ) পরিচালিত নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ের ৪৭২টি স্টেশনের মধ্যে ৫০টির সামনে, কখনোবা প্ল্যাটফর্মে ২,২৫০ থেকে তিন হাজারের অধিক হোমলেসকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে, শুয়ে-বসে থাকতে দেখা যায়।

হোমলেসদের স্টেশন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিউইয়র্ক সিটির প্রায় প্রত্যেক মেয়রের প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি হোমলেসদের স্টেশনে প্রবেশ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলোতে সার্বক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। কারণ অনেক হোমলেস প্রকৃত হোমলেস নয়, স্বভাবগতভাবেই হোমলেস। হোমলেস সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হলেও কয়েকদিন সেখানে কাটানোর পর আবার স্বেচ্ছায় হোমলেসে পরিণত হয়েছে।

বেশ কয়েক বছর আগে ম্যানহাটানের টাইমস স্কোয়ারের সাইডওয়াকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় এক হোমলেস ব্যক্তি খালি পায়ে বসে কাঁপছিলেন। এ দৃশ্য দেখে নিউইয়র্ক পুলিশের টহলরত ল্যারি ডিপ্রিমো নামে এক অফিসারের মানবিক বোধ জেগে ওঠে। তিনি হোমলেসের পাশে বসেন। নানা কথার ফাঁকে লোকটি কত সাইজের জুতা পরেন, তা জেনে নিয়ে কাছের দোকান থেকে নিজের গাঁটের ৭৫ ডলার ব্যয় করে একজোড়া বুট জুতা, একজোড়া মোজা ও একজোড়া হাতমোজা কিনে দেন। এ ঘটনা কোনোভাবে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। দুই সপ্তাহ পর হোমলেস লোকটিকে আবারও দেখা যায় সাইওয়াকে খালি পায়ে বসে কাঁপতে। এবার নিউইয়র্ক পোস্টের দুজন রিপোর্টার তাকে অনুসরণ করে।

লোকটি যখন টামইস স্কোয়ার থেকে উঠে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে নগদ অর্থ গুনতে দেখা যায়। এরপর লোকটি যখন একটি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে পৌঁছেন, তখন রিপোর্টারদ্বয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। লোকটি স্বীকার করেন, তিনি হোমলেস নন। হোমলেসের ভান করে তিনি বছরের ২০০ দিন ম্যানহাটানে বসেন এবং দৈনিক গড়ে প্রায় ২৫০ ডলার আয় করেন। বার্ষিক আয় করমুক্ত ৫০ হাজার ডলার। লোকটির নাম জেফ্রি হিলম্যান। তার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে ৩০ জোড়া জুতা ও বুট দেখা যায়।

সিটির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে ১ লাখ ৫৮ হাজারের অধিক হোমলেস ছিল। এ হিসাবের মধ্যে যারা হোমলেস সেন্টারগুলোতে থাকে এবং যারা থাকে না উভয় গ্রুপই অন্তর্ভুক্ত। হোমলেস সেন্টারে আশ্রয় লাভকারীর সংখ্যা কমবেশি ১ লাখ ৩২ হাজার। মানবাধিকার প্রবক্তাদের মতে, হোমলেস জনগোষ্ঠী কেবল পরিসংখ্যান নয়, তারাও মানুষ এবং আমাদের কমিউনিটির সদস্য। সিটি কর্তৃপক্ষ হোমলেস লোকজনের আবাসিক সংস্থানের ব্যবস্থা না করে যুগ যুগ ধরে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ফলে তাদের অনেক সময়, বিশেষ করে শীতকালে সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments