যশোর করেসপনডেন্ট:
একযুগের বেশি সময় পর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে এসে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লিফলেট বিতরণের জন্য তিনি কেশবপুরে আসেন।
ছাত্রদলের রাজনীতি করার কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত বাবার পরিবারচ্যুত হন শ্রাবণ। ফলে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। আর শতাধিক মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে নেতাকর্মীদেরকে গাড়িবহরে যুক্ত হয়ে তাকে বরণ করে নিতে দেখা যায়।
৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণের এই কর্মসূচি থেকে শ্রাবণ ঘোষণা দেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তার দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, এক যুগ পর কেশবপুরে এসে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে কেশবপুরে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেবো ৩১ দফা। কেশবপুরে কোনও চাঁদাবাজ আশ্রয় হবে না। কেশবপুরে ভয়হীনভাবে জনগণ বসাবস করবে, সেই বার্তা নিয়ে এসেছি।
তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে বিএনপির ৪৬ বছরের হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি।
এর আগে, দুপুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে যশোর শহরের কারবালা কবরস্থানে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ও কেশবপুর উপজেলার সাবেক সভাপতি আবু বকর আবুর কবর জিয়ারত করেন শ্রাবণ।
উল্লেখ্য, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাবা মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
শ্রাবণের আরও তিন ভাই উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা। দীর্ঘদিনের পারিবারিক রাজনৈতিক চর্চার বিপরীতে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন শ্রাবণ। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি শ্রাবণের বাবাও। এ কারণে ছেলের সঙ্গে ইতোমধ্যেই ছিন্ন করেছেন সম্পর্ক। যা এর আগেও আলোচনায় এসেছিল। এই কারণে শ্রাবণ দীর্ঘদিন বাড়িতে যান না। পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানেও অংশ নেন না তিনি।