সকালের নাশতায় ডিম অনেকেরই পছন্দের খাবার। তবে প্রশ্ন থাকে ডিম সেদ্ধ ভালো, নাকি অমলেট? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটিই পুষ্টিকর, তবে স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে কোনটি বেশি উপকারী হবে।
ডিম সেদ্ধের উপকারিতা
.রান্নায় বাড়তি তেল বা মসলার প্রয়োজন হয় না, তাই ক্যালোরি কম।
.সহজে তৈরি ও বহনযোগ্য।
.ওজন কমাতে ইচ্ছুকদের জন্য আদর্শ।
.ডিমের প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি১২, ক্যালসিয়ামসহ সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে।
অমলেটের উপকারিতা
.সাধারণত পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো, ধনেপাতা, মাখন ইত্যাদি দিয়ে সুস্বাদু করা হয়, যা শিশু-কিশোরদের জন্য ভালো।
.সেদ্ধ ডিমের তুলনায় অমলেটে ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকে, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
.শাকসবজি ও পনির যোগ করলে এর পুষ্টিমান আরও বাড়ে।
সতর্কতা
অমলেট সাধারণত সয়াবিন তেলে ভাজা হয়। আমাদের দেশে ব্যবহৃত সয়াবিন তেলে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই হৃৎস্বাস্থ্যের জন্য সেদ্ধ ডিম তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
উল্লেখ্য, ডিম সেদ্ধ ও অমলেট দুটির পুষ্টিগুণ প্রায় সমান। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য সেদ্ধ ডিম বেশি উপকারী। আর শিশু-কিশোর বা যাদের পুষ্টির বাড়তি প্রয়োজন, তাদের জন্য শাকসবজি মেশানো অমলেট ভালো বিকল্প হতে পারে।