শকুনের বাসায় ৬৭৫ বছরের...

সম্প্রতি ‘ইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তারা এক চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কারের কথা জানান। আপনার...

নিউ ইয়র্কে ১১ বছরের...

গ্রেপ্তার কিশোরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আইউইটনেস নিউজ। নিউ ইয়র্কের...

শাপলা প্রতীক ইস্যুতে বিএনপিকে...

ভোটের লড়াইয়ে কেউ শাপলা প্রতীক চাইতেই পারে। কিন্তু সেই ইস্যুতে বিএনপি বা ধানের...

পরকীয়া মজেছেন আবু ত্বহা...

আলোচিত-সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে নিয়ে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা...
Homeসারাদেশগ্রাহকের ১০ কোটি টাকা নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা উধাও

গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা উধাও

বাগমারায় গ্রাহকের প্রায় দশ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে ‘আঁত-তাবারা রাজশাহী লিমিটেড’ নামের একটি এনজিও। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই এনজিওর পরিচালক মুশফিকুর রহমান ও সভাপতি মাদরাসা সুপার মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার ভবানীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও অফিস ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

এছাড়া আমানতের টাকা ফেরতের দাবিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবং থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।

মাড়িয়া ইউনিয়নের চাম্পাকুড়ি গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান ও তার ছোট ভাই মশিউর রহমান এবং উত্তর একডালা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০/১২ জন সদস্য মিলে সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ বাজারে ‘আঁত-তাবারা রাজশাহী লি.’ ও ‘আঁত-তাবারা কর্মচারী সমবায় সমিতি লি.’ নামে দুটি পারিবারিক এনজিও চালু করেন। এরপর তারা প্রতারণার পন্থা অবলম্বন করে পাইকপাড়া মাদ্রাসা সুপার আব্দুল্লাহর কাছ থেকে আট লাখ, বৈইকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, বিলবাড়ি গ্রামের রমজান আলীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ, পাইকপাড়া গ্রামের অজুফা খাতুনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, একই গ্রামের সাহেব উল্লাহ’র কাছ থেকে দুই লাখ, পানিশাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, কাস্টনাংলা গ্রামের নাজমুল হকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার বিধবা তানজিমা আক্তারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, শিরিন আক্তারের কাছ থেকে তিন লাখ, জারজিস হোসাইনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ, রুশি বেগমের কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ, মোস্তাক আহমেদের কাছ থেকে তেইশ লাখ, আব্দুস সালামের কাছ থেকে দুই লাখ, হারুনের কাছ থেকে বার লাখ, নাজমুল হক জনির কাছ থেকে পাঁচ লাখ, খুশি খাতুন ও তার মায়ের কাছ থেকে সাত লাখ, ঝিকরা গ্রামের রইচ উদ্দিন ও আবুল কালাম স্বর্ণকারের কাছ থেকে ২০ লাখ করে, বালিয়া গ্রামের আবু হেনা মোস্তাফা কামালের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ এবং সগুনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে দুই লাখসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন।

এরপর ওই এনজিওর পরিচালক মুশফিকুর রহমান কয়েকদিন আগে এনজিওর অফিস ভবনটি তার ছোট ভাই মশিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন এবং তিনি উধাও হয়ে যান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ভবানীগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ওই এনজিও অফিস ঘেরাও করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে ওই এনজিওর পরিচালক প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments