গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকে দিচ্ছে ইসরাইল। বহরের কয়েকটি জাহাজে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশের কথাও শোনা যাচ্ছে। আর ফ্লোটিলার পথরোধের প্রতিবাদে ইতালিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন। খবর সানডে গার্ডিয়ানের।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভও অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে নেপলসও রয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা প্রধান রেলস্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এদিকে গাজার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ‘পথ পরিবর্তন’ করেছে ইসরাইল। এমনকি আলমা, সিরিয়াসসহ কয়েকটি জাহাজকে ইসরাইলি নৌবাহিনী আটকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্লোটিলায় থাকা ইতালিয়ান সাংবাদিক লরেঞ্জো ডা’আগস্টিনো।
তবে ফ্লোটিলার পেছনের দিকে থাকা কিছু জাহাজ এখনো যাত্রা অব্যাহত রেখে বলে জানান লুয়াই চারনি। তিনি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা নৌবহরের পেছনে আছি এবং গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের আটকায়নি।’
ইসরাইলি নৌবাহিনীর আগ্রাসী আচরণের মুখে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা তাদের জাহাজগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করে। ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানান, গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা তাদের জাহাজগুলোকে ইসরাইলি নৌবাহিনী ঘিরে ফেলার সময় অধিকাংশ জাহাজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের এই নৌবহরে ৪৫টি বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ রয়েছে। এসব নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।