মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সুইং অঙ্গরাজ্যে তীব্রভাবে কমে গেছে। ডেটা জার্নালিস্ট জি এলিয়ট মরিসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে জয় পাওয়া উইসকনসিন, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা ও অ্যারিজোনায় তার জনপ্রিয়তার পয়েন্ট এখন মাইনাসে।
নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপাত্ত অনুযায়ী, উইসকনসিনে -১০, মিশিগানে -১২, পেনসিলভানিয়ায় -১৩, জর্জিয়ায় -১১, নেভাদায় -১২, নর্থ ক্যারোলিনায় -৯ এবং অ্যারিজোনায় -৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এসব অঙ্গরাজ্যের ফলাফলই ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে জয় এনে দিয়েছিল।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেল জ্যাকসন অবশ্য দাবি করেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তা, উৎপাদন খাতে ঐতিহাসিক বিনিয়োগ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং ডেমোক্র্যাটদের ‘চরমপন্থী’ দাবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ট্রাম্প তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সেপ্টেম্বরের রাসমুসেন জরিপে এখনো ৫৭ শতাংশ আমেরিকান প্রেসিডেন্টের কাজে সমর্থন দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ পরিস্থিতি রিপাবলিকানদের জন্য ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রেইগ আগ্রানোফের মতে, যখন কোনো প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ৫০ শতাংশের নিচে নামে, তখন তাদের দল কংগ্রেসে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে—বিশেষত সুইং এলাকায়, যেখানে স্বতন্ত্র ও মধ্যপন্থীরা নির্ণায়ক ভূমিকা রাখেন।
জনপ্রিয়তা কমার পেছনে মূলত অর্থনৈতিক চাপ, মুদ্রাস্ফীতি, শুল্ক নীতি এবং কঠোর অভিবাসন-ব্যবস্থা কাজ করছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। তরুণ ও নিম্ন আয়ের ভোটারদের ওপর এসবের প্রভাব পড়ছে। ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা যদি এভাবেই নিচে নেমে থাকে, তবে ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে আসন বাড়াতে পারে, যা কংগ্রেসে ক্ষমতার ভারসাম্য পাল্টে দিয়ে আইন পাসের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।