এবার নিউইয়র্কে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’-এর শিকার হলেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ত্রিনিয়া হাসানের মা। ধারণা করা হচ্ছে, ‘হিপনোটিক কৌশল’ অবলম্বন করে প্রতারক চক্র তার গলা থেকে সোনার চেইন ও এক হাতের সোনার চুড়ি খুলে নিয়ে গেছে। ত্রিনিয়া হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি শেয়ার করে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ত্রিনিয়া হাসান ঠিকানাকে বলেন, গত ৫ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টার দিকে তার মা নিউইয়র্কের গ্লেক ওকসে নিজ বাসার সামনে ড্রাইভওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় একটি গাড়িতে করে দুই মহিলা ও এক যুবক সেখানে নেমে তার মায়ের কাছে একটি ঠিকানা জানতে চায়। ঠিকানা বলার পর তারা তার মায়ের প্রশংসা করে এবং খুশী হয়ে এটি সোনার চেইন উপহার দিতে চায়। তারা ত্রিনিয়ার মাকে এ ব্যাপারে রাজি করিয়ে ফেলে এবং এক মহিলা তার মায়ের গলায় চেইনটি পরিয়ে দেওয়ার সময় আসল সোনার চেইনটি নিয়ে যায়। এরপর খুলে নিয়ে যায় এক হাতের চুড়ি। আরেক হাতের চুড়ি খুলতে গেলে জ্ঞান ফেরে ত্রিনিয়ার মায়ের। বুঝতে পারেন তিনি হিপটোনাইজড হয়েছেন। তিনি চিৎকার দিলে প্রতারক চক্র ততক্ষণে ওই স্থান ছেড়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে- প্রতারক চক্র এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে ত্রিনিয়ার মায়ের নাকের কাছে ধরেছিল। এ কারণে তিনি সম্মোহন শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এ ধরনের ঘটনাকে ‘হিপনোটিক কৌশল’ বলা হয়। আর গত কয়েক মাসে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্কে।
ত্রিনিয়া হাসান এ বিষয়ে একটি পুলিশ রিপোর্ট করেছেন। তার মা সুস্থ আছেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
‘হিপনোটিক কৌশল’ কি?
রাস্তায় আপনাকে দেখে একজন লোক এগিয়ে আসবে। মুখের সামনে একটি কাগজ দেখিয়ে ইংরেজি অথবা তার নিজ ভাষায় বলবে- এই ঠিকানাটা বলতে পারেন? আপনি কাগজটিতে লেখা পড়তে গেলেই নেমে আসবে বিপদ। আপনি অচেতন হবেন না। কিন্তু লোকটা যা বলবে, তা-ই শুনবেন আপনি। যা চাইবে তাই দিয়ে দেবেন। এ ধরনের সমস্যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে ‘হিপনোটিক কৌশল’। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যক্তির মনোযোগ আকর্ষণ করে, যা তাকে সম্মোহিত করে। এরপর সে এমনভাবে কথা বলে যেন ব্যক্তির মনে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয় বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তার মন আটকে যায়। এর ফলে ব্যক্তি সম্মোহনকারীর নির্দেশ ছাড়া অন্য কিছু শুনতে বা বুঝতে পারে না।