ম্যানহাটনে মোবাইল চুরি বন্ধের...

বাধা দেওয়া সেই ব্যক্তির পেটে ছুরি বসিয়ে দেয় মোবাইল চুরি করা ব্যক্তি। নিউ ইয়র্ক...

১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের...

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক।...

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ট্রাম্পের বক্তব্যের...

গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে...

দেশে লিটারে সর্বোচ্চ ১৩...

দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেলের দাম। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয়...
Homeআন্তর্জাতিকমরণফাঁদ হয়ে উঠছে সাবওয়ে সার্ফিং

মরণফাঁদ হয়ে উঠছে সাবওয়ে সার্ফিং

বিপজ্জনক এ খেলায় মেতে উঠে গত ৭ বছরে প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জন।

নিউ ইয়র্ক সিটিতে মরণফাঁদ হয়ে উঠছে সাবওয়ে ট্রেনের ছাদে সার্ফিং।

বিপজ্জনক এ খেলায় মেতে উঠে গত ৭ বছরে প্রাণ হারিয়েছে ১৮ জন।

এমন বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবওয়ে সার্ফিংয়ে মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য কারণ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা এবং স্কুলে কাউন্সেলিংয়ের অভাব।

নিউ ইয়র্ক সিটির জীবনযাত্রায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সাবওয়ে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন ভূগর্ভস্থ এ ট্রেনে, তবে এই গতিশীলতার মাঝেই লুকিয়ে আছে কিছু খারাপ খবর।

ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রতি বছর কিছু সিটিবাসীর প্রাণ যাচ্ছে। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে ট্রেনের ধাক্কা, প্ল্যাটফর্ম থেকে পড়ে যাওয়া, রেল বিদ্যুৎ, সাবওয়ে সার্ফিং ও আত্মহত্যা।

মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটি-এমটিএর তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাবওয়েতে দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ২১১ জনের, তবে এর মধ্যে ১১১ জনই আত্মহত্যা করেন।

২০২১ সালে মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ৭৭ জন এবং ২০২২ সালে তা ৮৮ জনে গিয়ে দাঁড়ায়।

এসব দুর্ঘটনার ৪৮ ভাগই আত্মহত্যা এবং ৩৩ ভাগ ঘটেছে অসাবধানতা, মানসিক অস্থিরতার কারণে।

বর্তমানে নতুন এক ঝুঁকিপূর্ণ খেলার নাম সাবওয়ে সার্ফিং। ট্রেনের ওপরে উঠে ভিডিও বানানোর বিপজ্জনক এ প্রবণতা বাড়ছে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে।

নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের নিরাপত্তা কমিটি ও এমটিএ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত সাবওয়েতে সার্ফিং করতে গিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রাণ হারায় প্রায় ১৮ জন।

এর মধ্যে ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাঁচজন, ২০২৩ সালে পাঁচজন, ২০২৪ সালে ছয়জন ও সবশেষ ২০২৫ সালের চলতি মাসে সাবওয়ে সার্ফিং করতে গিয়ে সিটিতে প্রাণ হারায় ২ কিশোরী।

এসব দুর্ঘটনার শিকার বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।

কিশোর-কিশোরী বা তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়ার ‘চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করে কিংবা ‘ভিউ’ বাড়ানোর লোভে বিপদকে ডেকে আনছে। প্রতিদিন ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে সতর্কবার্তা দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যু নিয়ে এ খেলা।

বিপজ্জনক এ খেলা রোধে স্কুল ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বলে মনে করেন সিটি এডুকেশনাল পলিসির চেয়ারম্যান শামসুল হক।

সেভেন ট্রেনসহ ছাদে ওঠা যায় এমন ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments