চবিতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষ, অতিরিক্ত...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ১ নম্বর গেটে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায়...

আফগানিস্তানে বিস্ফোরণে ৫ জন...

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ৩৫ জন...

সেনাবাহিনীর আটক কর্মকর্তাদের বেসামরিক...

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের...

২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের...

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সামোয়াকে হারিয়ে ২০২৬ টি...
Homeআরওআপনার প্রতি আমাদের সমর্থন সীমাহীন নয়, প্রধান উপদেষ্টাকে সালাহউদ্দিন আহমদ

আপনার প্রতি আমাদের সমর্থন সীমাহীন নয়, প্রধান উপদেষ্টাকে সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমাদের সমর্থন আপনার প্রতি অব্যাহত আছে এবং থাকবে, কিন্তু সেটা সীমাহীন নয়।’ এই বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। পাশািপাশি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

“স্বৈরাচারকে আর সুযোগ দেওয়া যাবে না”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, অতীতে স্বৈরাচারী শাসন ও অনির্বাচিত সরকারের কারণে দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‌‘এজন্যই আমরা সবসময় বলে আসছিলাম— যথাশীঘ্র সম্ভব একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমন অভ্যুত্থানের পর নানা অস্থিরতা দেখা গেছে, তেমনি লক্ষণ বাংলাদেশেও দেখা দেবে, এবং দিয়েছে। তাই যদি নির্বাচন আর বিলম্বিত হয়, তবে আরো বড় সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তার ভাষায়, “আমাদের এমন এক রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, যেখানে পতিত স্বৈরাচার কখনোই সুযোগ নিতে না পারে।”

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষায়

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ প্রণীত হয়েছে, এখন প্রায় স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। এখানে যে নোট অফ ডিসেন্ট বা মতবিরোধের বিষয়গুলো আছে, সেগুলোর কারণেই তো আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) ঐক্যমত্য কমিশনের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদি কোনো মতবিরোধ না থাকত, তাহলে আলোচনারও প্রয়োজন হতো না। সব প্রস্তাবে যদি সবাই একমত হতো, তাহলে এই দীর্ঘ ১২ মাসের চর্চার দরকার পড়ত না।’

আগে যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছিল বাস্তবতার সঙ্গে সেগুলোর সব মিল ছিল না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারব্যবস্থার বাস্তবতা—এসব বিবেচনায় আমাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটকে দেখতে হবে। কারণ এটা ব্রিটেন বা আমেরিকা নয়—এটা বাংলাদেশ। এখানে ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিতে হয়।

আমরা ধীরে ধীরে এমন এক অবস্থায় এসেছি, যেখানে সকল দল ঐক্যবদ্ধ। আপনার নেতৃত্বে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্রজনতা রক্ত দিয়ে যেটা অর্জন করেছে। আজ আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মতামত বিনিময় করে একমত হতে পারছি।

“আমাদের সমর্থন সীমাহীন নয়”

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করলেও সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক সমর্থন সীমাহীন নয়—এটি কেবল গণতান্ত্রিক উত্তরণের লক্ষ্যেই দেওয়া হয়েছে।

“আমরা চাই আপনি এই সীমারেখা অনুধাবন করবেন,”—বলেন তিনি।
সচিবালয়ের বদলি ও পদায়ন নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেখানে এক ধরনের “রাজত্ব” তৈরি হয়েছে—আপনি খোঁজ নিন, আমরা তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করছি।

প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ভারসাম্য বজায় রাখার ওপরও তিনি জোর দেন। বলেন, দেশের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। আমরা চাই না, প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে কোনো ভারসাম্যহীনতা দেখা দিক। আমরা এই মুহূর্তে সেটা ইফোর্ট করতে পারবো না। আমরা চাই, আপনার সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। রাষ্ট্রকে ব্যালান্স অবস্থায় রাখতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ঝুঁকির মধ্যে আমরা যেতে চাই না, যেতে পারবো না। কারণ পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোষর একটি দেশ সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছে।

আরও পড়ুন: নভেম্বরেই গণভোট হতে হবে: আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

“জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে ঐক্য দরকার”

জুলাই জাতীয় সনদকে দেশের রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, নোট অফ ডিসেন্ট বা মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক, কারণ সব প্রস্তাবে একমত হওয়া সম্ভব নয়। তবে সনদে স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে জাতির জন্য তা ক্ষতিকর হবে।
তিনি বলেন, “এটা ব্রিটেন বা আমেরিকা নয়, এটা বাংলাদেশ। আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় নিতে হয়।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের চার মাস বাকি; এর আগে আরেকটি বড় আয়োজন সম্ভব নয়। তাই একই দিনে ভোট ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করেন তিনি। এতে ব্যয় ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে।

তার ভাষায়, “একটি ছোট্ট ব্যালটে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বললেই চলবে। এতে জনগণের মতামতও প্রতিফলিত হবে, আর নির্বাচনও বিলম্বিত হবে না।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments