শাস্তি পেলেন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের...

সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশে সহায়তা করেছিলেন আফগানিস্তানের ওপেনার ইব্রাহিম...

গাজার হামাসের হাতে আরও...

দখলদার ইসরায়েল বুধবার আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গাজায় হস্তান্তর করেছে। এতে মোট মরদেহের...

চাকসুর ৮ কেন্দ্রের ফলে...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ...

জোট যাদের নিয়ে হোক,...

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জোট যাদের নিয়েই হোক পটুয়াখালী-৩ আসনে...
Homeআন্তর্জাতিকসেনাবাহিনীর আটক কর্মকর্তাদের বেসামরিক আদালতে উপস্থাপন করার আহ্বান ভলকার তুর্কের

সেনাবাহিনীর আটক কর্মকর্তাদের বেসামরিক আদালতে উপস্থাপন করার আহ্বান ভলকার তুর্কের

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর আটক কর্মকর্তাদের উপযুক্ত বেসামরিক আদালতে উপস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।

বিগত সরকারের সময়ে জোর করে গুম ও নির্যাতনের জন্য অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়ার সূচনাকে জবাবদিহির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের জন্য এই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা ভিকটিম ও তাদের পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনীর স্বতঃস্ফূর্তভাবে আটক এই কর্মকর্তাদের দ্রুত একটি উপযুক্ত বেসামরিক আদালতে উপস্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায়বিচারের কঠোর মানদণ্ডের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি আমি। এসব স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভর সময় যারা মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, তাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করেই জবাবদিহির আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছিল জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে।

হাইকমিশনার বিপুলসংখ্যক মামলার নিষ্পত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু মামলা আগের প্রশাসনের সময় করা।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ও ন্যায্য নিষ্পত্তি এবং নির্বিচারে আটক থাকা ব্যক্তির মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।

হাইকমিশনার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে বলেছেন, অভিযোগের গুরুত্ব যা-ই হোক না কেন, তারা যেন আদালতে চলমান কোনো মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় না দেন। ব্যক্তিগত জবাবদিহি নিশ্চিত করা ছাড়াও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো পথ হলো সত্য বলা, ক্ষতিপূরণ, নিরাময় ও ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া।

আহ্বান জানিয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এ ধরনের নিপীড়ন যেন আর না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখনকার উদ্বেগগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের নিরিখে মোকাবিলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments