এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন তিনজন প্রার্থী— জোরান মামদানি (৩৪), অ্যান্ড্রু কুমো (৬৭) ও কার্টিস স্লিওয়া (৭১)।
শুরু হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন এবং নিউ জার্সির গভর্নর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ যা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
নগরজুড়ে ভোটারদের সরব উপস্থিতি আশা করছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে কুইন্স, ব্রুকলিন ও ব্রঙ্কসে উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী প্রার্থীরা।
এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন তিনজন প্রার্থী—জোরান মামদানি (৩৪), অ্যান্ড্রু কুমো (৬৭) ও কার্টিস স্লিওয়া (৭১)।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোরান মামদানি ইতোমধ্যে তরুণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। মুসলিম অভিবাসী ও ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে পরিচিত মামদানির নির্বাচনী প্রচারের মূল লক্ষ্য নিউইয়র্ককে আরও সাশ্রয়ী করা।
তার ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে বাসাভাড়া স্থগিত করা, সবার জন্য বিনা মূল্যে শিশু পরিচর্যাসেবা এবং কম খরচের গণপরিবহন সেবা চালু করা।
ইতোমধ্যে মামদানি ওয়ার্কিং ফ্যামিলিজ পার্টিরও সমর্থন পেয়েছেন।
অপরদিকে, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন অ্যান্ড্রু কুমো। তিনি ২০১১-২১ পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক স্টেটের ডেমোক্র্যাট গভর্নর ছিলেন।
শুরুতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন কুমো। কিন্তু দলের ভেতর প্রার্থী নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোরান মামদানির কাছে তিনি হেরে যান। পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নেন।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কারণে কুমোর বয়স্ক ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা থাকতে পারে। কিন্তু সব জরিপে জোহরান মামদানি তার চেয়ে কমপক্ষে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
এছাড়া মেয়র প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াও।
মেয়র নির্বাচনের আগাম ভোট গ্রহণ ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২ নভেম্বর শেষ হয়। প্রায় ৭ লাখ ৩৫ হাজার ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।
এদিকে নিউ জার্সিতে গভর্নর পদে নির্বাচনে লড়ছেন মিকি শেরিল এবং জ্যাক সিয়াতারেলি। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মিকি শেরিল, সাবেক নৌবাহিনীর পাইলট ও ফেডারেল প্রসিকিউটর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জ্যাক সিয়াতারেলি যিনি ব্যবসায়ী ও সাবেক স্টেট আইনপ্রণেতা। ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গভর্নর পদে লড়ছেন, জ্যাক।