ই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে পাসপোর্ট স্ট্যাম্প করানোর জন্য অপেক্ষার সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
অ্যামেরিকায় প্রবেশের জন্য ভিসা বা ফিজিক্যাল পাসপোর্ট দেখানো আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। তবে এই সুবিধার জন্য মানতে হবে কিছু শর্ত।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম উনিয়োন রায়োর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকরা শুধুমাত্র একটি ডিজিটাল অনুমোদন—ইএসটিএ (ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন) দেখিয়ে অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই ব্যবস্থা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের (ভিডব্লিউপি) অংশ, যা ভ্রমণকে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ করার পাশাপাশি প্রশাসনিক ঝামেলা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে পাসপোর্ট স্ট্যাম্প করানোর জন্য অপেক্ষার সময়ও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
ইসটিএ হলো একটি ডিজিটাল এক্সপ্রেস ভিসা, যা সম্পূর্ণ অনলাইনে কাজ করে। এটি সেইসব দেশের নাগরিকদের জন্য পর্যটন বা ব্যবসার ভিসার বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় যারা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের অংশ।
এই সিস্টেম ফ্লাইটে ওঠার আগে যাচাই করে যে আপনি অ্যামেরিকায় প্রবেশের জন্য সব শর্ত পূরণ করছেন কি না। এজন্য এম্বেসি যাওয়ার বা কোন কাগজপত্র পূরণের প্রয়োজন নেই। আবেদন করতে হলে প্রয়োজন হবে একটি বৈধ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট, কয়েক মিনিট সময় আবেদন পূরণের জন্য, এবং ২১ ডলার ফি।
ইসটিএ অনুমোদন পাওয়া গেলে আপনি ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য পর্যটন বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে অ্যামেরিকায় থাকতে পারবেন। তবে এটি চূড়ান্ত প্রবেশের নিশ্চয়তা নাও দিতে পারে। সীমান্তে প্রবেশের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সিবিপি অফিসার।
এখন পর্যন্ত ভিসা ছাড়া অ্যামেরিকায় প্রবেশের সুযোগ শুধুমাত্র সেই দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য যারা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের অংশ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশ।
এছাড়া, ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া প্রবেশের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানতে হবে। শর্তগুলো হচ্ছে-
বৈধ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট থাকতে হবে, যা প্রোগ্রামের আওতায় থাকা দেশ থেকে ইস্যু হয়েছে।
যাত্রাটি পর্যটন, ব্যবসা, বা ট্রানজিটের উদ্দেশ্যে হতে হবে এবং ৯০ দিনের কম সময়ের জন্য থাকতে হবে।
ফ্লাইট বা সীমানা পার হওয়ার আগে অনুমোদন (ইসটিএ) নিতে হবে।
ইসটিএর প্রতিটি আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করা হয় এবং তথ্য আন্তর্জাতিক ডেটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য, জনস্বাস্থ্য, এবং অপরাধমূলক রেকর্ড। তাই আবেদন করার সময় সতর্ক থাকা জরুরি।
ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ = মেক্সিকো, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, পেরু, চিলি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা এই সুবিধার আওতায় পড়ছে না।