বাড়ির ঋণ, গাড়ির ঋণ, ক্রেডিট কার্ড এবং শিক্ষার্থী ঋণের মতো গৃহঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় অ্যামেরিকানরা। নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বুধবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে গৃহঋণের পরিমাণ।
এই বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট গৃহঋণ দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যা আগের ত্রৈমাসিকের চেয়ে ১৯৭ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০১৯ সালের শেষের পর থেকে, অর্থাৎ মহামারির আগে থেকে মোট ঋণের পরিমাণ ৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
এবিসি নিউজ জানায়, প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যামেরিকান শিক্ষার্থী ঋণ ১ দশমিক ৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে যা এক নতুন রেকর্ড। অনেক ঋণগ্রহীতা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীর ঋণ পরিশোধে ৯০ দিন বা তার বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা গেছে, অ্যামেরিকানদের ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া ঋণ এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৪ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এক বছরের ব্যবধানে ক্রেডিট কার্ড ঋণ প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে।
অটো লোনের বকেয়া ঋণ স্থিতিশীল থেকে ১ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন ডলারে রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক ফেডের রসম্যান বলেছেন যে কিছু পরিবার অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। তার মতে, অর্থনীতির কে আকৃতির বৈষম্যের কারণে এমনটা হয়েছে। অর্থাৎ, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন এবং দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে। ধনী মানুষের আর্থিক অবস্থা আরও ভালো হচ্ছে, আর দরিদ্ররা তুলনামূলকভাবে আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
রসম্যান দাবি করেন, রেকর্ড ঋণের বোঝার রেকর্ড গড়লেও সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনও মোটামুটি ভালো। অর্থাৎ পুরো দেশের অর্থনীতি বড়ভাবে এখনও স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী।