স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা জানান, এবছরের বাতিল করা ভিসার প্রায় অর্ধেকই এই তিনটি অপরাধের জন্য দায়ী।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রশাসন প্রায় ৮০,০০০টি অ-অভিবাসি ভিসা বাতিল করেছে। মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, হামলা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য এসব ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন এগজামিনার-এ প্রথম এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর বুধবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাম্পের প্রশাসন ভিসা বাতিল ছাড়াও কঠোর অভিবাসী নীতি গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে বৈধ ভিসা থাক সত্ত্বেও অভিবাসী বিতাড়নের পদক্ষেপ।
প্রশাসন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও আরও কঠোর নীতি অবলম্বন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক মাধ্যম যাচাই কঠোর করা এবং স্ক্রিনিং বিস্তৃত করা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর (ডিইউআই) মামলার জন্য ১৬ হাজারটি ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া হামলার জন্য বাতিল করা হয়েছে ১২ হাজার ভিসা। চুরির দায়ে বাতিল হয়েছে ৮ হাজার ভিসা।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মকর্তা জানান, এবছরের বাতিল করা ভিসার প্রায় অর্ধেকই এই তিনটি অপরাধের জন্য দায়ী।
গত আগস্টে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানায়,ভিসা মেয়াদ লঙ্ঘন করেছে বা আইন ভেঙেছে এমন কারণ দেখিয়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। কিছু ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ সমর্থন সংক্রান্ত অভিযোগের দাবিতে কিছু শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়।
অপরদিকে, গত মাসে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, সামাজিক মাধ্যমে কনজারভেটিভ অ্যাক্টিভিস্ট চার্লি কার্ককে হত্যার বিষয়ে মন্তব্যের জেরে কমপক্ষে ছয়জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
গত মে মাসে সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও বলেন, ‘সম্ভবত হাজার হাজার মানুষের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। তাদের কার্যক্রমগুলো অ্যামেরিকার বিদেশনীতি বিরোধী হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষার্থী ভিসা ও গ্রিন কার্ডধারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে যদি তারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায় বা গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে।
প্রশাসন এই কাজগুলোকে অ্যামেরিকার বিদেশনীতির জন্য হুমকি বলে মনে করে এবং তাদের প্রো-হামাস হিসেবে আখ্যায়িত করছে।