মামদানির জয় নিশ্চিতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে নিয়ে শুরু হয় ইসরায়েলিদের নেতিবাচক প্রচারণা।
নিউ ইয়র্কের তরুণ ও নতুন প্রজন্মের ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন নিয়েই মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জোরান মামদানি। তার এই ঐতিহাসিক বিজয়ের অন্যতম কারণ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান।
মামদানির জয় নিশ্চিতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে নিয়ে শুরু হয় ইসরায়েলিদের নেতিবাচক প্রচারণা।
এএফপি জানায়, মামদানিকে হামাস সমর্থক’ আখ্যা দিয়ে নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের অ্যামেরিকা ছেড়ে ইসরায়েলে চলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি প্রবাসী কল্যাণ ও ইহুদিবিদ্বেষ দমন মন্ত্রী আমিচাই চিকলি।
এক্সে দেয়া এক বার্তায় মামদানির কঠোর সমালোচনা করেন চিকলি। তার মতে, ‘বৈশ্বিক স্বাধীনতার প্রতিকৃতি হিসেবে পরিচিত নিউ ইয়র্ক শহরের চাবি এখন এক হামাস সমর্থকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও ওয়াশিংটনে আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলার দিকে ইঙ্গিত করে চিকলি বলেন, মামদানির দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সেসব ধর্মান্ধ জিহাদিদের তেমন কোনো ব্যবধান নেই যারা ২৫ বছর আগে নিজেদের শহরের তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল।
ইসরায়েলি মন্ত্রী চিকলি তার এক্স পোস্টে আরও বলেন, ‘নিউইয়র্ক আর কখনোই আগের মতো হবে না। বিশেষত, ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য। শহরটি সজ্ঞানে, পায়ে হেঁটে এমন এক নরকের দিকে আগাচ্ছে, যেখানে লন্ডন ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিউ ইয়র্কের ইহুদিদের আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ইসরায়েলে তাদের নতুন আবাস গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন।’
মামদানি সব সময়ই ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ইসলামবিদ্বেষেরও সমালোচনা করেন। তিনি নিজেও এ ধরনের বিদ্বেষমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
দীর্ঘদিন থেকেই ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার দাবি জানিয়ে আসছেন জোরান মামদানি। গাজার যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ দাবি করে ইহুদি সম্প্রদায়ের এক অংশের বিরাগভাজন হন তরুণ প্রজন্মের এই নেতা।
আগামী ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র পদ গ্রহণের পর ৩৪ বছর বয়সী মামদানি হবেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র।