শকুনের বাসায় ৬৭৫ বছরের...

সম্প্রতি ‘ইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তারা এক চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কারের কথা জানান। আপনার...

নিউ ইয়র্কে ১১ বছরের...

গ্রেপ্তার কিশোরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আইউইটনেস নিউজ। নিউ ইয়র্কের...

শাপলা প্রতীক ইস্যুতে বিএনপিকে...

ভোটের লড়াইয়ে কেউ শাপলা প্রতীক চাইতেই পারে। কিন্তু সেই ইস্যুতে বিএনপি বা ধানের...

পরকীয়া মজেছেন আবু ত্বহা...

আলোচিত-সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে নিয়ে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা...
Homeঅর্থনীতিদাম বাড়ায় কমছে স্বর্ণের বিক্রি, গুরুত্ব বাড়ছে বিনিয়োগে

দাম বাড়ায় কমছে স্বর্ণের বিক্রি, গুরুত্ব বাড়ছে বিনিয়োগে

স্বর্ণ নিজেই যেন হয়ে উঠছে সোনার হরিণ। দ্রুত মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে এরই মধ্যে চলে গেছে অনেকের নাগালের বাইরে। তবে অলংকার হিসেবে বিক্রি কমলেও ব্যক্তি পর্যায়ে বিনিয়োগের জন্য স্বর্ণের গুরুত্ব বেড়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের দুর্বলতা যখন সঞ্চয়কারীদের ভাবাচ্ছে, তখন স্বর্ণকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। তবে অর্থলগ্নির আগে বিশ্ববাজারের পূর্বাভাস আমলে নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
প্রাচীনকাল থেকেই অলংকার কিংবা সঞ্চিত সম্পদ হিসেবে কদর ধরে রেখেছে স্বর্ণ। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। চলতি বছরের শুরুতেও যার দাম ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ৯ মাসে সাড়ে ৪৬ হাজার টাকা দাম বেড়েছে। এমন স্বর্ণমূল্যে সাধ আর সাধ্যকে মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, স্বর্ণের দাম আকাশছোঁয়া। চাইলেই কেনা যাচ্ছে না।

বিক্রেতাদের মতে, বছরের মধ্যে বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আগে দিনে ৫ লাখ টাকার স্বর্ণ বিক্রি হতো, এখন তা কমে ২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তবে অনেকের কাছে আবার এই ধাতুর ঊর্ধ্বমুখী মূল্য, খুলে দিয়েছে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম। কারণ, পুরোনো স্বর্ণ বিক্রিতে মিলছে ভালো মুনাফার সুযোগ। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, স্বর্ণ ফ্যাশনের জিনিস। তবে এটি এক ধরনের সম্পদও।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালো মানের পুরাতন স্বর্ণ কেউ বিক্রি করলে ১৭ শতাংশ দাম কমিয়ে কিনেন তারা। এই হিসাবে গত জানুয়ারির শুরুতে কেনা এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার বর্তমানে বিক্রি করলে লাভ পাবেন প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর বিনিময় করে নতুন অলংকার কিনলে ১০ শতাংশ অবচয়ের পর প্রায় ২৮ হাজার টাকা বাড়বে ব্যবহারকারীর স্বর্ণের দাম।

দুই বছর ব্যবধানে একভরি স্বর্ণালঙ্কারে লাভ করার সুযোগ দাঁড়াচ্ছে ৫৬ হাজার ১২৫ থেকে ৬৯ হাজার ১৪১ টাকা। অলস টাকা তাই স্বর্ণে বিনিয়োগকে লাভজনক হিসেবে দেখছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বাজুসের মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা স্বর্ণে বিনিয়োগ করে শোরুম বা অন্যান্য কাজে। তবে স্বর্ণে বিনিয়োগ লাভজনক হলেও অনেকের পক্ষে এটি সম্ভব হচ্ছে না।

শিল্পখাতের স্থবিরতা আর ব্যাংকসহ আর্থিক খাতের দুর্বলতা যখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সঞ্চয়কারীদের মনে, তখন মূল্যস্ফীতি আমলে নিয়ে স্বর্ণে বিনিয়োগকে নিরাপদ হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরাও। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা স্বল্পমেয়াদে স্বর্ণ ক্রয় করলে অনেকটা লাভবান হতে পারেন। এতে রিজার্ভের পরিমাণও বাড়বে। স্বর্ণের বিশ্ববাজার যখন অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, তখনই বিনিয়োগ করা উচিত।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ যে বছর স্বাধীন হয় সে বছর ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ছিল ১৭০ টাকা। যা বর্তমানে গিয়ে ঠেকেছে ২ লাখের কাছাকাছিতে। এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা এখনো বলা না গেলেও পূর্বাভাস বলছে, বিশ্ববাজারে আরও বাড়তে পারে এই ধাতুর দাম।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments