এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ধর্মভিত্তিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের একটি প্রতিনিধিদলকে। প্রতিনিধিদরটির নেতৃত্বে ছিলেন মুফতি আবুল হাসানাত আমিনী। মূলত একই দলের অপর অংশের আপত্তিতে তাদের চলে যেতে বলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের শুরুতে এ ঘটনা ঘটে। ইসি সূত্র জানায়, একই দলের অপর অংশের আপত্তির কারণে তাদের চলে যেতে বলা হয়। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল সভা কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা আগেই আসন গ্রহণ করা মুফতি আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন অংশকে লক্ষ্য করে তাদের ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যায়িত করেন। মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, তারা বিগত ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনসহ প্রতিটি একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে। তারা এখানে থাকলে আমরা থাকবো না।
নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণপত্র দেখার অনুরোধ করেন। সাখাওয়াত হোসেন রাজি তার দলীয় আমন্ত্রণপত্র দেখান, তবে হাসনাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন দল হার্ডকপি দেখাতে ব্যর্থ হয়। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ হার্ডকপি না থাকায় তাদের চলে যেতে নির্দেশ দেন। এরপর আসনে বসেন সাখাওয়াত হোসেন রাজির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল। একই দিনে গণভোট নিয়ে ব্যাখ্যা দাবি ৮ দলেরএকই দিনে গণভোট নিয়ে ব্যাখ্যা দাবি ৮ দলের
এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রোববার সকালে ছয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হবো। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।