December 1, 2025, 9:54 am
Title :
ফের অভ্যুত্থানে জেন-জি, উত্তাল এশিয়ার আরেক দেশ ‘সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে’ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র সমাধান: পোপ লিও সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা বেলুচিস্তানে এফসি সদর দপ্তরে হামলা, পাল্টা হামলায় ৩ সন্ত্রাসী নিহত হঠাৎ পাল্টে গেলো বাংলালিংকের লোগো, সামাজিকমাধ্যমে চলছে আলোচনা কক্সবাজারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য হাসিনা সরকার দায়ী: রাশেদ খান

পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরাইল

Reporter Name
  • Update Time : Sunday, November 16, 2025
  • 32 Time View

অধিকৃত পশ্চিমতীরের হেবরনে মুসলিমদের জন্য ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। একইসঙ্গে সেখানকার পুরোনো শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউও জারি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ইহুদি উৎসব পালনের সুযোগ দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেল আবিব।

হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা আরেফ জাবের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই কারফিউ জারি রয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী পুরোনো শহরে প্রবেশের সামরিক চেকপয়েন্টগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে এবং যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

এর ফলে অনেক ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা নিজ ঘরেও ফিরতে পারেননি এবং হেবরনের অন্য এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। জাবের জানান, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল— দুই দফায় শত শত অবৈধ বসতকারী ভারী সামরিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুরোনো শহরে ঢুকে রাস্তায় ‘উসকানিমূলক’ শোভাযাত্রা করেছে।

তিনি বলেন, এই কারফিউ আসলে ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ পুরোপুরি দখলে নেওয়ার এবং সেটি সিনাগগে রূপান্তরের ইসরাইলি প্রচেষ্টার অংশ।

ফিলিস্তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের শুরু থেকে প্রতিদিন ইব্রাহিমি মসজিদের সুক গেট বন্ধ রাখছে এবং পূর্ব দিকের প্রধান গেটও বন্ধ করে রেখেছে। এমনকি জানালাগুলোও ঢেকে দিয়েছে।

ইব্রাহিমি মসজিদ হেবরনের পুরোনো শহরে অবস্থিত এবং এটি এখন পুরোপুরি ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে। এখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতকারী থাকে এবং তাদের পাহারা দেয় প্রায় ১৫০০ ইসরাইলি সেনা।

১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতকারীর হাতে ২৯ জন ফিলিস্তিনি মুসল্লি নিহত হওয়ার পর ইসরাইলি মসজিদটিকে দুই ভাগে ভাগ করে। এই মসজিদের ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য। ইহুদিদের বরাদ্দ অংশে মসজিদের আজান দেওয়ার ঘরটিও রয়েছে।

এছাড়া ইসরাইলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসবের সময় মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০ দিনের ইসলামি উৎসবের সময় ইহুদিদের জন্যও মসজিদটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত পূর্ণ প্রবেশাধিকার আর বহাল রাখা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © ajkerdorpon.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com