আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্দিষ্ট কিছু শাখাকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ (FTO) এবং ‘বিশেষভাবে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর ফলে আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামি রাজনৈতিক আন্দোলনটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ওয়াশিংটন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প সোমবার (২৪ নভেম্বর) একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং অর্থমন্ত্রী স্কট বেস্যান্টকে নির্দেশ দিয়েছেন মিশর, লেবানন ও জর্ডানে সক্রিয় মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করা প্রয়োজন কি না—তা নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে।
৪৫ দিনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এসব শাখাকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, এসব দেশে ব্রাদারহুডের শাখাগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মিত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে এবং হামাসকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে—এ নিয়ে ট্রাম্প উদ্বিগ্ন।
রিপাবলিকান রাজনীতিকরা এবং ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে। ট্রাম্প প্রথম মেয়াদেও একই উদ্যোগ নিয়েছিলেন, আর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পরপরই সেনেটর মার্কো রুবিও জানান—এ বিষয়ে প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
সম্প্রতি টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট অঙ্গরাজ্য পর্যায়েও মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯২০-এর দশকে মিশরে সেক্যুলার ও জাতীয়তাবাদী ধারা বিরোধী একটি ইসলামি আন্দোলন হিসেবে যাত্রা শুরু করা ব্রাদারহুড পরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে একটি প্রভাবশালী—তবে অনেক ক্ষেত্রে গোপনে পরিচালিত—গোষ্ঠীতে পরিণত হয়।
সূত্র: রয়টার্স