লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহির হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিনব্যাপী লতিফপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের মোস্তাফার দোকান এলাকায় অবস্থান করার সময় জহিরকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা প্রথমে গুলি ছোড়ে। পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা।
আটকরা হলেন লতিফপুর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যার ছেলে আলমগীর হোসেন ও নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিম। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জহির হত্যাকাণ্ডের পর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ সুপার আকতার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, মাদক ব্যবসা ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ছোট কাউছার ও তার সহযোগীরা দায়ী। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন জহির ও ছাত্রদলকর্মী ছোট কাউছার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশ জানায়, ছোট কাউছারের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজা রয়েছে। জহিরের বিরুদ্ধেও মাদকের বেশ কয়েকটি মামলা ছিল।