December 1, 2025, 10:46 am
Title :
ফের অভ্যুত্থানে জেন-জি, উত্তাল এশিয়ার আরেক দেশ ‘সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে’ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র সমাধান: পোপ লিও সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা বেলুচিস্তানে এফসি সদর দপ্তরে হামলা, পাল্টা হামলায় ৩ সন্ত্রাসী নিহত হঠাৎ পাল্টে গেলো বাংলালিংকের লোগো, সামাজিকমাধ্যমে চলছে আলোচনা কক্সবাজারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য হাসিনা সরকার দায়ী: রাশেদ খান

শেখ হাসিনা— চার দশকের রাজনৈতিক জীবন, শেষে ফাঁসির দণ্ড

Reporter Name
  • Update Time : Monday, November 17, 2025
  • 42 Time View

অনেকের কাছে স্বৈরাচারের প্রতীক শেখ হাসিনা। কারও ভাষায় ফ্যাসিস্ট। আবার সমর্থকদের কাছে তিনি উন্নয়নের কর্ণধার। চব্বিশের পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্তও তার ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ। তবে এই গল্প সহসাই তৈরি হয়নি। প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দলের সভাপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময় রাষ্ট্র পরিচালনাকারী।

পিতা শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা হিসেবেই হাল ধরেছিলেন বেহাল আওয়ামী লীগের। সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে আসেন ১৯৮১ সালে। এর আগে, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতার পর ছয় বছর কেটেছে অনেকটা নির্বাসনে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হন কর্মী ও সমর্থকদের কাছে।

৮০’র দশকের শেষার্ধে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার ছিল জোরালো অবস্থান। ১৯৯১ এর সংসদ নির্বাচনে দল হেরে গেলেও ফল ঘরে তোলেন ৯৬’র জুনে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে। সেবারই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

এক মেয়াদ পর ২০০৮ সালে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে আবারও ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। ২০০ এর বেশি আসন, অসীম ক্ষমতাধর করে তোলে আওয়ামী লীগকে। সংবিধানে কাটাছেড়া, আর বলয় তৈরি করে ক্ষেত্র তৈরি করেন দীর্ঘ মেয়াদে থাকার। সময়ের সঙ্গে রাষ্ট্র হয়ে ওঠে প্রধানমন্ত্রী তথা শেখ হাসিনা কেন্দ্রিক।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে, তিন দফায় একেকবার একেক কৌশলে নিজের আসন টলতে দেননি তিনি। কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় কখনো রাতের আধারে, কখনো নিজের মধ্যে প্রতিযোগিতার নাটকীয় জয় আরও আগ্রাসী করে শেখ হাসিনাকে।

২০২৪ সালে জনমানুষের সব ক্ষোভ গিয়ে রাজপথে মিলিত হয় শিক্ষার্থীদের সাথে। কোটার দাবিতে আন্দোলন পরিণত হয় রাষ্ট্রের বৈষম্য দুরীকরণের হাতিয়ার হিসেবে। সরকারী নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মুহূর্মুহু গুলি বাড়িয়ে দেয় বিক্ষোভের মাত্রা। প্রাণ যায় কয়েকশো মানুষের। তবু ক্ষমতায় টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালান শেখ হাসিনা।

শেষ পর্যন্ত ক্ষোভে ফেটে পড়া জনস্রোত, তার সে আশা পুরোনো হতে দেয়নি। গণভবনে মানুষের ঢল পৌছানোর আগেই ভারত চলে যান দাপুটে প্রতাপশালী এই নেতা।

মূলত, অধ্যাপক ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে শুরু হয় জুলাই গণহত্যার বিচার। বেশ কয়েকটি মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আদালতের দণ্ড, ক্ষমতার অপব্যবহারের এক বাস্তব দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, যুগে যুগে বিশ্বের অনেক স্বৈরশাসকের শেষ পরিণতি হয়েছে ফাঁসি কিংবা কারাবাস। শেখ হাসিনা এখন অবস্থান করছেন ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। এমনিতেই ভারত তাকে সহসা ফেরত পাঠাবে কিনা, তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল সংশয়। এবার রায়ের পর ট্রাইব্যুনাল ইন্টারপোলের দারস্থ হলে শেখ হাসিনার পরিণতি কী হয়, তা-ই এখন দেখার অপেক্ষা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © ajkerdorpon.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com