ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি এক্স পোস্টে দেয়া বিবৃতিতে বলেছে, ‘অ্যামেরিকানদের মৃত্যু কামনা করে এমন বিদেশীদের আশ্রয় দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই অ্যামেরিকার।’
ডানপন্থি প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামাজিক মাধ্যমের মন্তব্যের জেরে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত পোস্টের জেরে ৬ জনের ভিসা বাতিল করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, ভিসা বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকো, ব্রাজিল, জার্মানি এবং প্যারাগুয়ের নাগরিক।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি এক্স পোস্টে দেয়া বিবৃতিতে বলে, ‘অ্যামেরিকানদের মৃত্যু কামনা করে এমন বিদেশীদের আশ্রয় দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই অ্যামেরিকার।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের নাগরিকদের হত্যার উদযাপনের সময় অ্যামেরিকার আতিথেয়তার সুযোগ নেওয়া বিদেশীদের অপসারণ করা হবে।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, কার্কের হত্যাকাণ্ড উদযাপন করেছে এমন ভিসাধারীদের শনাক্ত করার কাজ অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরোধী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং কয়েক হাজার ভিসা বাতিল করেছে অ্যামেরিকা।
ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গুলিতে নিহত হন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কার্ক। তার মৃত্যুতে অ্যামেরিকাজুড়ে শোক নামে।
মঙ্গলবার কার্কের ৩২তম জন্মদিন ছিল। এদিন চার্লি কার্কের স্ত্রী এরিকা কার্কের হাতে মরণোত্তর প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ তুলে দেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এসময় কার্ককে জন্য শহীদ” হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলে এবং বেশ কয়েকজন ডানপন্থি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
কার্ককে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার অনুষ্ঠানে যথাসময়ে যোগ দিতে মধ্যপ্রাচ্য সফর সংক্ষিপ্ত করে ওয়াশিংটন ডিসিতে ফেরেন ট্রাম্প।