আরও দুই ইসরাইলি জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ওই দুই মরদেহ ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের ফেরত দেওয়া আরও দুই জিম্মির মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইলি জিম্মি হিসেবে চিহ্নিত করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ওই মরদেহগুলো হস্তান্তর করেছে।
এর আগে গত সোমবার চার এবং গত মঙ্গলবার তিনজন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ বুঝে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে তেল আবিব। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গতকাল রাতে ফেরত দেওয়া ওই দুই মরদেহ ইসরাইলের মধ্যাঞ্চলে ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় এবং তাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।
ইসরাইল থেকে ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজা থেকে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে সম্মত হয় তারা। এর অংশ হিসেবে সোমবার থেকে জিম্মিদের মুক্তি দিচ্ছে তারা।
তবে ইসরাইলের দাবি, হামাস চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মানছে না। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, গাজায় যেসব জিম্মির মরদেহ এখনো রাখা আছে, সেগুলোর সবই হামাসকে ফেরত দিতে হবে।
ইসরাইল ওয়াশিংটনকে বলে দিয়েছে, গাজা থেকে সব জিম্মির মরদেহ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত চুক্তির পরবর্তী ধাপ এগোতে পারবে না। চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের ২৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করার কথা। সোমবার থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৯টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মূলত ১০টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে একটির নমুনার সঙ্গে কোনো জিম্মির নমুনা মেলেনি।
হামাস বলেছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করেছে। সব জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে। মৃত জিম্মিদের মধ্যে যাদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে, সেগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি এই সংগঠন এবং রেডক্রস বলেছে, গাজার ধ্বংসাবশেষ থেকে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধার করাটা চ্যালেঞ্জিং। আবার কিছু মরদেহ ইসরাইলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় রয়েছে।