সিরিয়ার দামেস্কের একটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক উপস্থিতির প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে একটি নিরাপত্তা চুক্তি কার্যকর করতে মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সেখানে সামরিক উপস্থিতি চাইছে ওয়াশিংটন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিষয়টির সাথে পরিচিত কয়েকটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
দামেস্কে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির এই পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে কখনও জানানো হয়নি। এটি বাস্তবায়িত হলে তা হবে ইরানের মিত্র দীর্ঘদিনের নেতা বাশার আল-আসাদের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিরিয়ার কৌশলগত পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত।
এই ঘাঁটিটি দক্ষিণ সিরিয়ার কিছু অংশের প্রবেশদ্বারে করা হবে। যেখান থেকে একটি সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাতে চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে আগ্রাসন না হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এই চুক্তিটি সম্পন্ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন:পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের
এদিকে, আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা’র সাথে দেখা করবেন, এটি কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউজে প্রথম সফর।
রয়টার্স ঘাঁটির প্রস্তুতির সাথে পরিচিত সূত্রের সাথে কথা বলেছে, যার মধ্যে দুজন পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং একজন সিরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাও রয়েছেন। তারা নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য ইসরাইল-সিরিয়া চুক্তি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করার জন্য ঘাঁটিটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।
পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্তব্যের অনুরোধের জবাবে পেন্টাগন এবং সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও সাড়া দেয়নি।
তবে, মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট) কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সিরিয়ায় আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ মূল্যায়ন করছে এবং (আমরা) আমাদের অবস্থান বা (যেখানে) বাহিনী যেখানে কাজ করবে তার সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না।
নিরাপত্তার কারণে ওই কর্মকর্তা ঘাঁটির নাম এবং তার অবস্থান প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন। রয়টার্স সঠিক অবস্থান প্রকাশ না করতে সম্মত হয়।
একজন পশ্চিমা সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পেন্টাগন গত দুই মাস ধরে ঘাঁটিটি প্রস্তুত করার জন্য তৎপরতা চালিয়েছে। তার মধ্যে একটি পদক্ষেপ হলো ঘাঁটির দীর্ঘ রানওয়ে যা, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।