চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সরওয়ার জামাল নিজামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির হাজার হাজার সাধারণ নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আন্দোলনকারীরা রাতে বের করে মশাল মিছিল। অনেকের গায়ে ছিল কাফনের কাপড়। এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘মীর জাফরের ঠিকানা আনোয়ারায় হবে না,’ মীর জাফরের ঠিকানা কর্ণফুলীতে হবে না।’ বয়কট বয়কট ‘সরওয়ার জামাল বয়কট।’ ‘রিভিউ রিভিউ, চট্টগ্রাম-১৩।’
মিছিলকারীরা সরওয়ার জামাল নিজামের কুশপুত্তলিকা বহন করে এবং এক পর্যায়ে তা পুড়িয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজামকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এরপর থেকেই সাধারণ নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বৃহস্পতিবার তারা সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এক সময়ে আওয়ামী লীগের এমপি আখতারুজ্জামান চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন সরওয়ার জামাল নিজাম। বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন নিয়ে একাধিকবার এমপি হয়েছেন। সু সময়ে সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু গত ১৬ বছর বিএনপির দুঃসময়ে তিনি এলাকায় ছিলেন না। কর্মীদের পাশে ছিলেন না। একটি মামলাও তাকে খেতে হয়নি। এখন আবার দলের সামনে সুসময় দেখে কৌশলে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে হলে ত্যাগীরা রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন। তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে নিজামের মনোনয়ন বাতিল করে প্রত্যাশী অন্য যে কোন নির্যাতিত ও দলের দুঃসময়ে হাল ধরা নেতাকে দেওয়ার দাবি জানান।
এই আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন চৌধুরী আশফাক, এসএম মামুন মিয়া, নগর বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমসহ অন্তত ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এর মধ্যে আলী আব্বাস ৫ বছর জেলে খেটেছেন আওয়ামী লীগের মামলায়। ১৭ টি মামলার ঘানি টানছেন এখনও। অন্যরাও নানাভাবে হামলা-মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মিছিলে কারা নির্যাতিত নেতা রফিক আহমদ ডিলার, আবুল কাসেম, মোজস্তা আহমেদ, জামাল হোসেন প্রমুখ নেতৃত্ব দেন।