রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৬) হত্যা এবং তার মা তাসমিন নাহার লুসীকে (৪৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি লিমন মিয়ার (৩৪) বক্তব্য গণমাধ্যমে আসায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চারজন হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার। তারা নগরীর রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে আরএমপির পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান জানান, দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে এই চারজনকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বরখাস্তের এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আরও কারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় তাওসিফ। হামলায় গুরুতর আহত হন তাসমিন নাহার লুসী। হামলাকারী নিজেও আহত হন।
হাসপাতালে ভর্তি করার পর অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সময় লিমন গণমাধ্যমে ক্যামেরার সামনে কথা বলেন। পরে এ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় আদালত শনিবার আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে শোকজ করেছেন। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আসামি লিমন মিয়ার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।