টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব অবহেলার কারণে পরীক্ষার প্রথম দিনেই অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ফলে নতুন প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নিতে দেড় ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। মনোযোগ নষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে বেকায়দায়।
গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, গত শনিবার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে ‘অষ্টম শ্রেণি’ লিখিত একটি ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পরীক্ষা এক ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় পরে অষ্টম শ্রেণির নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা শুরু হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিমু বড়ুয়া বিষয়টিকে ছোটখাট ভুল দাবি করে জানান, শ্রেণি শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্ন তৈরি করে নিয়ে ছাপাখানায় সমস্ত প্রশ্ন ছাপানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল। কাজ দেওয়ার সময় অসতর্কতাবশত সপ্তম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে ‘অষ্টম শ্রেণি’ লেখা ছিল, তাই ছাপাখানাকে যেভাবে দেওয়া হয়েছে তারা সেভাবেই ছাপিয়েছে। দেড় ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলে পরীক্ষা দেড় ঘণ্টা পিছিয়ে যায়।
টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ওপর দায় চাপিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দেড় ঘণ্টার মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও মনোযোগ নষ্ট হওয়ার কারণে পরীক্ষা তেমন ভালো হয়নি।
এদিকে অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষা শুরুর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ছাপাখানা থেকে এনে সঠিকভাবে সরবরাহ করা হয়েছে কিনা যাচাই করা হলে এমন ভুলের কারণে শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়ত না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ভুল ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন পুনরায় স্কুলের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয়হীনতা ও স্কুলের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর চেয়ে লোকদেখানো বাহ্যিক বিষয়ে ঢাকঢোল পেটাতেই ব্যস্ত প্রধান শিক্ষক। সুতরাং এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে প্রশ্নপত্র ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক বলে যোগ করেন অভিভাবকরা।