December 1, 2025, 6:50 am
Title :
‘সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে’ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র সমাধান: পোপ লিও সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা বেলুচিস্তানে এফসি সদর দপ্তরে হামলা, পাল্টা হামলায় ৩ সন্ত্রাসী নিহত হঠাৎ পাল্টে গেলো বাংলালিংকের লোগো, সামাজিকমাধ্যমে চলছে আলোচনা কক্সবাজারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য হাসিনা সরকার দায়ী: রাশেদ খান খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, কিছুটা ভালোর দিকে: তথ্য উপদেষ্টা

আযম খানের বিরুদ্ধে আ.লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ, ৬ বিএনপি নেতার পদত্যাগ

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, November 25, 2025
  • 26 Time View

নিউজ ডেস্ক:
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ এনে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতিসহ ছয় নেতা দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

পদত্যাগ করা নেতারা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান সাজু, সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাদল, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ ও বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ মিয়া। তারা ২১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় পদত্যাগ করেন। তাদের পদত্যাগপত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে নানা আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

ছয়জনের পদত্যাগপত্রে একই ধরনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার অবৈধ সরকারের আমলে দলের সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে আসছি। যে কারণে আওয়ামী লীগের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দ্বারা মিথ্যা মামলা-হামলায় একাধিকবার জেল জুলুমসহ নানাবিধ অত্যাচার সহ্য করে দলীয় আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে দলের সকল কর্মসূচি পালন করে আসছি। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান দ্বারা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের দোসরদের দলীয় কার্যক্রমে সামনের সারিতে এনে পুনর্বাসন করার প্রতিবাদ করলে তিনি বিএনপির এই নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ অনাকাঙ্ক্ষিত অসদাচরণ করেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। তার মতো একজন জাতীয় নেতা কর্তৃক বিমাতাসুলভ অসাংগঠনিক আচরণের জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে এই ছয় নেতা দলীয় সকল প্রকার পদ-পদবি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এই পদত্যাগপত্রের অনুলিপি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে দেওয়া হয়।
বাসাইল-সখীপুর আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে থেকেই তিনি নির্বাচনী গণসংযোগ, জনসভা, উঠান বৈঠক, সামাজিক অনুষ্ঠান ও ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই বাসাইল ও সখীপুর উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি পক্ষের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কোন্দল সৃষ্টি হয়ে আছে। আহমেদ আযম খান মনোনয়ন পেলেও দুই উপজেলার বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি পক্ষ তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান সাজুকে তার দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা বিএনপি। তার অব্যাহতিতে আহমেদ আযম খানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ কারণে সখীপুর উপজেলা বিএনপির মধ্যে নতুন করে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ছয় নেতার পদত্যাগের পর কোন্দল আরও প্রকাশ্যে এসেছে।

অপরদিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক আহমেদকে আযম খানের হুমকি ও অশালীন ভাষায় কথা বলার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানববন্ধন করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়েও সমালোচনা করা হয়। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে আহমেদ আযম খান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। এসব বিষয় নিয়ে আহমেদ আযম খান বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

সদ্য পদত্যাগ করা সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার বলেন, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খান জিয়ার আদর্শের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমিসহ এ পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ জন পদত্যাগ করেছি। প্রায় দুইশ নেতাকর্মী পর্যায়ক্রমে পদত্যাগ করবে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবো।

সখীপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, তাদের পদত্যাগের বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা এখনো কোনো কাগজ পাইনি। এটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ঈর্শান্বিত হয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। ইনশাআল্লাহ আবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © ajkerdorpon.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com