আলোচিত-সমালোচিত ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানকে নিয়ে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা সামাজিকমাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
আজ ১১ অক্টোবর (শনিবার) ভোরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেস্টের। ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেন।
ঠিকানার নিউজের পাঠকদের জন্য আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানে স্ত্রীর পোস্টটি তুলে হুবহু ধরা হলো—
‘এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিগণও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ব করে।
আপনাদের উস্তাদ Abu Taw Haa Muhammad Adnan প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেস এর।
তখন উস্তাদ ডেসপারেটলি তাকে চেয়েছিলেন নাকি, তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি।
এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্র মহিলা ডেসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন।
পুরাতন প্রেম নতুন রূপে, একটু বেশিই ফিলিংসে ডুবেছেন। তারা নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিংস আদান-প্রদান সহ ঘন্টার পর ঘন্টা তার যিন্নুরাঈন সেন্টারে বসে বসে ফোনে কথা বলছেন।
আবার সে তার সাথে লঙ ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন + সেন্টারে এসে অফিস রুমে সাক্ষাৎ করেন।
আসলে আপনাদের দেয়া টাকায় গড়া তার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে যেকোনো নারীর সাথে একান্তে মিট করার কারখানা। নারী পুরুষ একসাথে ক্লাস নেয়া।
যে কো-এডুকেশন শিক্ষার বিরোধিতা তার জবানে অথচ তারই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন। বিভিন্ন কোর্সের ক্লাসের নামে চলে মেয়েদের সাথে সরাসরি বসা আর আলোচনা করা, বেটার থেকে বেস্ট কাউকে খুঁজে নেয়া।
(এগুলো থেকে খুব তাকে বিরত রাখতে চেয়ে অস্থির হতাম বিধায় আমাকে তার আশপাশের সকলের নিকট সবচেয়ে জঘন্য বানিয়েছে, নিজেই চিৎকার করে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে, নানা তোহমত চাপিয়ে দেয়)
যাইহোক আমার বিছানায় বসে প্রেম করেন এ এয়ার হোস্টেস নারীর সাথে তিনি মা শা আল্লাহ। সেন্টারে কাজ আছে বলে রাত ৩টায় বাসায় আসেন এসে আবার জানান তিনি তার প্রেমিকার সাথে কথা বলেন।
তিনি যা-ই করেন তা আবার গোপনের ধার ধারেন না, কারণ তিনিই সবচেয়ে বড়।
এছাড়াও এয়ার হোস্টেস জারিন জেবিনের সাথে এঙ্গেজ হওয়ার পূর্বে রংপুরের আরেক মেয়ে যে কিনা তাদের কোনো এক ওমরা প্রতিযোগিতার স্টুডেন্ট ছিলো আবার আলেমাও। আপনাদের উস্তাদ সে মেয়েকে ইফতা পড়াবে তাকে নিয়ে দ্বীনের কাজ করবে, বিয়ে করবে ইত্যাদি কথা দিয়ে তার বাবা ভাইয়ের সাথেও কথা বলেছে।
পরবর্তীতে যখন এই এয়ার হোস্টেসকে পেলো তখন আবার সেই আলেমা মেয়েকে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে আপনি বিয়ে করে নিন ভালো পাত্র পেলে।
তখন সেই মহীয়সী নারী আবার উস্তাদের প্রেমে পাগল হয়ে ইন্তেজারের পথ বেছে নিয়েছে।
উস্তাদও কথা দিয়েছে বিয়ে করলে তাকেই করবে।
এমন লিস্ট অভাব নেই।
দেখা যাক ফাইনালি উস্তাদ কার হোন।
আমাকে প্রচন্ড প্রেশার দেয়া হয়েছে এ বিষয়গুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ এর জন্য। অনুকূলে না পেয়ে ২ বছর যাবৎ নানা রকম সিনক্রিয়েট করে তোহমত চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।”